দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত ভ্রমণকারী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ সময়ে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৩ জন যাত্রী ভারতে প্রবেশ করে।
আদায়কৃত অর্থের মধ্যে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক আদায় করেছে ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। বাকি অর্থ আদায় হয়েছে দেশের অন্যান্য সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার যাত্রীর যাতায়াত তার আগের অর্থ বছরের চেয়ে কমেছে বলে জানা গেছে। বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রকিবুল ইসলাম যাত্রী পরিসংখ্যান ও রাজস্ব আদায়ের তথ্য সময় নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায়ে কাজ করে থাকে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যাত্রী প্রতি তারা ৫০০ টাকা ভ্রমরকর এবং বন্দরের ট্যাক্স বাবদ ৪২ টাকা ৮৫ পয়সা আদায় করে থাকে। সেসকল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছে তাদের ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ১০ শতাংশ ভারতসহ অন্যান্য দেশের রয়েছে।
বন্দর ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বৈধভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টে ভারত যাতায়াত শুরু হয়। বেনাপোল থেকে কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। বেনাপোল থেকে রওনা দিয়ে ট্রেন ও বাস যোগে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণপিপাসু মানুষ যাতায়াতে প্রথম থেকে স্বাচ্ছন্দ্য করে থাকে। বর্তমানে বেনাপোল স্থলপথ ও রেল পথে যাত্রীরা ভারত যাতায়াত করে থাকে।
করোনার কারণে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ১৩ মার্চ থেকে এ পথে বাংলাদেশিদের ভারত যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতীয় হাইকমিশনারের বিশেষ অনুমতিতে ভিআইপি ব্যক্তিদের যাতায়াত সচল রয়েছে বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে প্রতিবছর এত বিপুল পরিমাণে রাজন্ব আয় হলেও এখানে যাত্রী সেবা বাড়েনি। অবকাঠামো উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া সেবার নামে ট্যাক্স আদায় করা হলেও বন্দরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া তেমন কোন সেবা নাই।
ইমিগ্রেশনে যাত্রী ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ রোদে পুড়তে আর বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। রয়েছে ইমিগ্রেশন ও যাত্রী টার্মিনালে প্রতারক আর ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন